খাদিজাতুল কোবরা
সে দিন, সে কালে কি ভুল ছিল বল
আজ যে রুখে দাড়াঁও না?
সে দিন মরেছিল সব ভাইয়েরা তোমার-
কেন আজ শ্রদ্ধা কর না?
যুদ্ধে লড়েছিল বলে যাকে বীর বলেছিলে,
আজ কেন নেশা থেকে ফেরাও না?
রক্তে লেখা শত কবিতা ফেলে তুমি বল জীবন বেদনার!
রংতুলিতে আকাঁ লাল শাড়ি পরে বোনেরা তোমার,
কিন্তু গাটা ছুঁয়ে দেওয়ার কত বাহানা!
প্রেমিকেরা সেকালে দিত সাদা গোলাপ- রক্তে মাখানো তুমি তা বোঝ না
একালে দেয় রক্ত জবা, তা দেখে তুমি মুখ ফেরাও না।
সেকালে যা হত তা একালেও আছে,
কই তবু তো তুমি খুশি না!
রাজাকার, হানাদার সেকালেও ছিল
তবে আজ কারা ভাঙে মসজিদ, মন্দির,
তুমি কি তা জানো না?
ক্ষুদার্ত থেকে যারা চেঁচাত ভীষণ, তখনো নুনটি পেত না
আজ চেঁচায় না আর , তুমিও রিজিকের বাহক হতে চাও না।
স্বাধীন হয়ে মানচিত্র পেয়েছি আমরা এক,
না জানি কোথায় রয়েছে এর সীমানা।
মেঘের পরে রোদ তখনো খেলত,
আজও খেলে,
তবে তুমি কেন বল সবই অজানা!
তুমি কি তবে বিজয় এর চিহ্ন না?
তুমি কি পরবাসী তবে?
তোমার পার হতে না পারা সীমানা?
চোখ মেলে দেখ তুমি অধীন এখন অব্দি,
নিকটে যা আছে তা আপন করে নাও-
দৃষ্টি স্বার্থ থেকে দূরে নিয়ে দেখো,
খুঁজে পাবে বিজয় এর জোঁছনা।