বাংলাদেশ

মহিম চক্রবর্তী অন্তু

রাস্তার সোডিয়াম লাইটগুলো নিভে যাক একে একে,

নিচ্ছিদ্র এ আঁধারের পথে এদেরকে মনে হচ্ছে জ্বলন্ত শত্র‌ু । শত্র‌ুরা নিপাত যাক।

নীরব এক মায়ার চাদরের মতো গাড় অন্ধকার এসে ঢেকে ফেলুক পৃথিবী নামক গ্রহটাকে।

সিনেমা হলের কালো পর্দাগুলো একে, একে পরে যাক,

 প্রতি ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক বাতিগুলো নিভে যাক ধারাবাহিক ভাবে,

নাইট ক্লাবের নৃত্যরত সব মানুষেরা  আচমকা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুক।

আঁধার- শুধুই  আঁধার এসে ঘিরে ফেলুক চারপাশের সব কিছুকে।

পরম নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ুক মানব সমাজ।

আর সে নীরব-নিস্তব্ধ রাতের আঁধারটা ভেদ করে,

আকাশে দেখা দিক গোল থালার মতো একটা রূপালী চাঁদ! 

আর নিকশ কালো আঁধারের মাঝে একটুখানি জায়গা হয়ে উঠুক

মিষ্টি জোছনায় স্নান করা অপরূপা একখণ্ড বঙ্গভূমি।

আর সেই স্নিগ্ধ আলোয় ‘আকাশ থেকে নেমে আসুক পরীর দল,

ওই সানবাঁধানো পুকুর থেকে সারি বেঁধে উঠে আসুক

‘জলপরীরা আর সাগর থেকে মৎস কন্যারা!

আর লক্ষ লক্ষ সেতারে একসাথে বেজে উঠুক সেই স্বর্গীয় সুর-

“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”

সবকয়টা সাহিত্যের পাতা ভেদ করে বিশ্ব কাঁপিয়ে

আবারও বেজে উঠুক হৃদয়ে আগুন ধরানো সেই অমর স্লোগান ….

“জয় বাংলা…” “তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা, মেঘনা,  যমুনা”

তবুও, সবকিছুর পরে আমার পরম আস্থার নাম বাংলা।

আমাদের প্রজন্মের সুন্দর আর বিদ্রোহের শ্রেষ্ঠ অভয় আশ্রয় মুক্তিযুদ্ধ ।

স্যাঁতসেঁতে, আর্তিময়, চেতনারহিত সময়ের বিরুদ্ধে দীপ্ত আকাশমুখী,

অথচ নিবিড় ছায়াচ্ছন্ন ঘেরা একটি  নাম “বাংলাদেশ”…..

বেঁচে থাকুক বাঙালী এই বাংলাকে বুকে নিয়ে।