মোঃ শরিফ হোসেন
বাংলার স্বাধীনতার সন’টা ১৯৭১
মূল্য দিতে হয়েছিলো প্রচুর।
গোলা বারুদ আর বন্দুকের গুলিতে বিধ্বস্ত ৩০ লক্ষ শহীদের বুক
দুই লক্ষ মা, বোনের ইজ্জত আর লাশের স্তুপ।
এই ত্যাগের রচনা হয়েছে প্রায় ২৪ বছরের বঞ্চনায়
শোষণ, অনিয়ম আর স্বৈরাচারীতার বিষ
বাঙ্গালির উপর শুরু হয়েছিল, সনটা ১৯৪৭।
প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার ব্যবধানে দুইটি অংশ যার,
ধর্ম ব্যতীত পুরোটাই ফাঁক তার সংস্কৃতি, ভৌগলিক আর ভাষার।
শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষা হওয়ার পরেও বাংলা
অনিয়মে উর্দুকে চাপিয়ে দেয় নাজিমুদ্দীন, জিন্নাহ আরো রাজনৈতিক আমলা।
১৪৪ ধারা জারি করে দাবিয়ে রাখা যায় কি বাঙ্গালিকে?
ঘাতকের থাবায় বুক পেতে দেয় সালাম, রফিক, জব্বার সহ আরো কত কে!!
তারপর আসলো যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
ষড়যন্ত্রের অন্তরালে যুক্তফ্রন্ট সরকার হলো বর্জন ।
সামরিক আইন জারি করে মৌলিক অধিকার হলো হরণ
অর্থনীতি, প্রশাসন, প্রতিরক্ষা আর শিক্ষায় হলো পাকিস্তানের অবাধ বিচরণ।
অধিকার আদায় রক্ষায় পিছিয়ে গেল বাঙালি
এমতাবস্থায়, মুক্তির সনদ নিয়ে হাজির হলো ৬ দফা দাবি ।
তুলে ধরা হলো সকল অধিকারের কথা
আইয়ুব খান সরকার আখ্যায়িত করলো বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি যথা।
বন্দী হলো বঙ্গবন্ধু আরো ৩৪ জন আমলা
করা হলো ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা।
জেগে উঠলো বাঙ্গালির স্বাধীন চেতনা
শুরু হলো পাকিস্তান বিরোধী আন্দলোন,
প্রান গেলো আসাদুজ্জামান, শামসুজ্জোহার
এরই নাম বুঝি ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান।
আইয়ুব খানের পদত্যাগে হলো ৭০ এর নির্বাচন
২৮৮ আসনে জয় লাভের পরেও
আওয়ামী লীগ করতে পারেনি সরকার গঠন।
৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের বাঙালি হলো প্রাণবন্ত
স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার পেল মুলমন্ত্র।
তার পর হলো ২৫ শে মার্চের বর্বর তম হত্যা
তাই দেখে বাঙ্গালির কেপে গেল সত্তা।
দীর্ঘ ৯ মাস হলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
অতঃপর পেল বাঙালি নিজের ভাষা আর সার্বভৌমত্ব।