অসহ্য শব্দেরা গিলে খাচ্ছে কাগজের পাতা, নাকি কোনো শিশুর মাথা!
কে জানে!
শব্দেরা গ্রাস করে জীবন, গ্রাস করে মৃত্যু নামের অপেক্ষমাণ প্রেমিক!
কালো ছায়া ক্রমশ হয়ে ওঠে অন্ধকারের দানো।
তারা কখনো দেয়ালে,কখনো খাটের নিচে, কিংবা কখনো আত্মায় পঁচন ধরায়।
নাকি মগজ খায়?
কিংবা খেয়ে ফেলে ইতিহাসের নির্মম সত্য!
মাথার ভেতর গল্পের সাগরে বয়ে চলে ময়ূরপঙ্খী নাকি নীলকন্ঠের লাল-নীল বেদনা!
কখনো ঘৃণা,কখনো ছাই হয়ে আসা সভ্যতার পৈশাচিক অনন্দ,
শব্দেরা ভেসে যায়, ক্রমশ পুড়ে যায় মায়াশহরের এসিড বৃষ্টিতে,
সেখানে সুখ-দুঃখের টানাপোড়েন নেই…
দুঃখ নামের সুখ ভেসে চলে মিশরীয় রা’য়ের নৌকোয়,
গন্তব্য কাবুল নাকি সিন্ধু নদের তীর কে তা জানে!
কে-ই বা জানতে চায়?
শব্দের দুনিয়ায় পৃথিবী স্বপ্নময়,
হলদে-সবুজ ওরাংওটাং রঙ মাখে আকাশের নাকি আকাশলিনার!
কাগজের নৌকোয় ভেসে যায় চাঁদ;
ডুবে যায় রাস্তার জমে থাকা জলে,
কিংবা কথানদীর সত্যিকারের মিথ্যের মায়াজালে…